জাতীয় দলের জার্সি ছেড়েছেন অনেক আগেই, তবুও এখনো মাশরাফিকে সামনে পেলেই ছুটে যান সাংবাদিকরা। জাতীয় দল নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন তারা।
অকপটেই সেসবের জবাব দেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকে (ডিপিএল) সামনে রেখে বৃহস্পতিবার মিরপুরে অনুশীলন করতে আসেন মাশরাফি। জাতীয় দলের অন্যতম সফল অধিনায়ককে পেয়ে তার কাছে ছুটে যান গণমাধ্যমকর্মীরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজবে সামনে রেখে জিজ্ঞেস করেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর বিষয়ে।
জবাবে ডমিঙ্গোর সমালোচনাই করলেন তিনি। জানালেন, সফলতা থাকলেও বাংলাদেশ দলে ডমিঙ্গোর ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আর খুব বেশি বাকি নেই। তার আগেই কি কোচ পরিবর্তন করা ঠিক হবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, মাশরাফি বলেন, ‘এটা তো বিসিবির ব্যাপার। তবে আমাকে এ ব্যাপারে বলতে বললে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে,ডমিঙ্গোর ব্যর্থতার পাল্লা ভারী। বিসিবি যদি তাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, ভালো। যত ম্যাচ আমরা হেরেছি সেই দায়টা তাকেও নিতে হবে। মিরপুরে আমরা এমন অনেক ম্যাচ হেরেছি, যেসব ম্যাচ হারার কথা ছিল না। শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচ… অনেক কিছুই আছে। আমি মনে করি এখন পর্যন্ত ওর পারফরম্যান্স খারাপের দিকেই বেশি। দেখা যাক, দক্ষিণ আফ্রিকায় যদি এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করে আসে… ওর সংস্কৃতি, ও পরিবেশ সম্পর্কে জানে, উইকেট সম্পর্কে জানে। আশা করছি ও একটা বড় ভূমিকা পালন করবে। সেটা করতে পারলে খুবই ভালো হবে।’
ডমিঙ্গোকে একহাত নিয়ে এ সাবেক অধিনায়ক আরো বলেন, ‘তাকে (ডমিঙ্গো) নিয়ে অভিযোগ আছে খেলোয়াড়দের। আমার মনে হয় না যে, ড্রেসিংরুমে সবাই খুশি থাকে।সবচেয়ে বড় কথা ড্রেসিংরুমে সুস্থ পরিবেশ থাকতে হবে। আমাদের সেটি এখন আছে কি না, সেটি দেখতে হবে। স্টিভ রোডস চলে যাওয়ার পরও তাকে নিয়ে কথা হচ্ছে কেন? কারণ তার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল সবার। তবে বিসিবি যদি ডমিঙ্গোকে নিয়ে খুশি থাকে, সেটি ভিন্ন বিষয়।’
উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনো রাখঢাক না করে রাসেল ডমিঙ্গোকে যে তিনি একহাত নিয়েছেন, এমন নয়। আগেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ডমিঙ্গোকে তীরবিদ্ধ করেছেন মাশরাফি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।